সুনান ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ৩
كتَابُ الْآذَانِ وَالسُّنَّةِ فِيهَا
অনুচ্ছেদঃ৫
بَابُ فَضْلِ الْآذَانِ وَثَوَابِ الْمُؤَذِنِينَ
আযানের ফযীলাত ও মুয়ানিদের সওয়াব।
۷۲۳- حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَاحِ ثَنَا سُفْيَانُ ابْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ عَنْ أَبِيْهِ وَكَانَ أَبُوهُ فِي حَجْرٍ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ قَالَ لِي أبُو سَعِيد إذا كُنتَ فِي البَوَادِي فَارقَع صَوتُكَ بِالْأَذَانِ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولِ اللَّهِ يَقُولُ لَا يَسْمَعُهُ جِنِّ وَلَا انْسَ وَلَا شَجَرٌ وَلا حَجَرٌ إِلا شَهِدَ لَهُ .
৭২৩। আবু সাঈদ (রাঃ)-এর তত্ত্বাবধানে প্রতিপালিত আবদুর রহমান ইবনে আবু সাসাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু সাঈদ (রাঃ)
আমাকে বলেছেনঃ যখন তুমি গ্রামে বা বন-জঙ্গলে থাকবে, তখন উচ্চস্বরে আযান দিবে। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ
জিন, মানুষ, বৃক্ষলতা ও পাথর যে-ই এই আযান শুনবে, সে তার জন্য (আখেরাতে) সাক্ষ্য দিবে।
ثَنَا شَبَابَةُ ثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي ٧٢٤ - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا شَبَابَةُ ثَنَا شُعْبَةُ . عُثْمَانَ عَنْ أَبِي يَحْى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ الْمُؤَذِّنُ يُغْفَرُ لَهُ مَدَى صَوْتِهِ وَيَسْتَغْفِرُ لَهُ كُلُّ رَطَبَ وَبَابِسِ وَشَاهِدَ الصَّلَاةِ يُكْتَبُ لَهُخَمْس وَعِشْرُونَ حَسَنَةً وَيُكَفِّرُ لَهُ مَا بَيْنَهُمَا
৭২৪। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নিজ মুখে বলতে শুনেছিঃ
মুয়াযযিনের আযান ধ্বনি যত দূর পর্যন্ত পৌঁছবে, তত দূর তাকে ক্ষমা করা হবে এবং জীবিত ও নির্জীব সকলে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ।
নামাযে উপস্থিত লোকদের পঁচিশ নেকী লেখা হয় এবং তার দুই নামাযের মধ্যবর্তী কালের গুনাহ ক্ষমা করা হয়।
٧٢٥- حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ قَالَا ثَنَا أَبُو عَامِرٍ ثَنَا سُفْيَانُ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْى عَنْ عِيسَى بْنِ طَلْحَةَ قَالَ سَمِعْتُ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمُؤَذِّنُونَ أطولُ النَّاسِ أَعْنَاقَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ .
৭২৫। মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন মুয়াযযিনগণ লোকদের মাঝে সুদীর্ঘ ঘাড়বিশিষ্ট হবে।
٧٢٦ - حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا حُسَيْنُ ابْنُ عِيسَى أَخُو سُلَيْمَ الْقَارِي عَنِ
الحَكَمِ بنِ آبَانِ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَيُؤَذِّنَ لَكُمْ خِيَارُكُمْ وَلِيُؤْمَكُمْ قُرآؤُكُمْ .
৭২৬। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
অবশ্যই তোমাদের মধ্যকার উত্তম ব্যক্তি আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যকার উত্তম কারী (কুরআন বিশেষজ্ঞ) ইমামতি করবে।
۷۲۷- حَدَّثَنَا أَبُوْ كُرَيْبٍ ثَنَا مُخْتَارُ بْنُ غَسَّانَ ثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ الْأَزْرَقِ البُرْجُمِيُّ عَنْ جَابِرٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسِ ح وَحَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ الْفَرَجِ ثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ شَقِيقٍ ثَنَا أَبُو حَمْزَةَ عَنْ جَابِرٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ أَذَّنَ مُحْتَسِبًا سَبْعَ سِنِينَ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ .
৭২৭। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
যে ব্যক্তি সওয়াবের আশায় সাত বছর আযান দেয় আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির সনদ লিখে দেন।
۷۲۸- حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْى وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيِّ الْخَلالُ قَالَا تَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ ثَنَا يَحْيَ ابْنُ أَيُّوبَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ قَالَ مَنْ أَذْنَ ثِنْتَى عَشْرَةَ سَنَةً وَجَبَتْ لَهُ الجَنَّةُ وَكُتِبَ لَهُ بِتَأْذِيْنِهِ فِي كُلِّ يَومٍ ستُونَ حَسَنَةٌ وَلكُلّ اقَامَةِ ثَلاثُونَ حَسَنَةً .
৭২৮ । ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি বারো বছর আযান দেয় তার জন্য বেহেশত অবধারিত হয়ে যায়।
আর প্রতি দিনের আযানের বিনিময়ে তার জন্য ষাট নেকী এবং প্রতি ইকামতের জন্য তিরিশ নকী লেখা হয়।
🌐ইকামতের শব্দগুলো একবার করে বলা।📓
আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে কুরআন সুন্নাত হাদীস,দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত বিষয়ে জানার জন্য চ্যনেলে {হে মুমিনগণ!}দেখুন।
সুনানে ইবনে মাজহা সহি হাদিস শুনুর জন্য ইউটুব চ্যনেস {হাদিস বিশ্বনবির বাণী}দেখুন।
আল-কুরআন ও হাদীসের আলোচনা পাড করার জন্য {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।
আল-কোরআন ১১৪টি সুরা শুনার জন্য ইউটুব চ্যেনেল {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।