Type Here to Get Search Results !

ইবনে মাজাহ, আযানের সুন্নাত, অধ্যায়-৩,অনুচ্ছেদ-৩

🌐অধ্যায়-৩। গণনা- ৩  আযানের সুন্নাত {৩৩১}📓📓
সুনান ইবনে মাজাহ

অধ্যায়ঃ ৩

كتَابُ الْآذَانِ وَالسُّنَّةِ فِيهَا

অনুচ্ছেদঃ ৩

بَابُ السُّنَّةِ فِي الْآذَانِ

আযানের সুন্নাত ।

۷۱۰- حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ ثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ ابْنُ سَعْدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ مُؤذِّنُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ بِلَالاً أَنْ يُجْعَلَ إصبعيه في أُذُنَيْهِ وَقَالَ أَنَّهُ ارْفَعُ لِصَوْتُكَ .


৭১০। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুয়াযযিন সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল (রাঃ)-কে তার দুই কানের ছিদ্রে তার দুই আঙ্গুল প্রবিষ্ট করার নির্দেশ দেন এবং বলেনঃ তাতে তোমার কণ্ঠস্বর আরো উচ্চ হবে।

۷۱۱- حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَاشِمِيُّ ثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ عَنْ حَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ عَنْ عَوْنِ بْنِ أَبِي جُحَيْفَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِالْأَبْطَحِ وَهُوَفِي قُبَّةِ حَمْراءَ فَخَرَجَ بِلالُ فَأَذْنَ فَاسْتَدَارَ فِي أَذَانِهِ وَجَعَلَ إِصْبَعَيْهِ فِي أَذْنَيْهِ .


৭১১। আবু জুহাইফা (রাঃ) বলেন, আমি আল-আবতাহ(মিনা) নামক উপার্তাকায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এলাম।

তিনি তখন একটি লাল তাঁবুর মধ্যে অবস্থান করছিলেন। বিলাল বেরিয়ে এসে আযান দিলেন।

আযান দেয়ার সময় তিনি এদিক-সেদিক তার মুখ ফিরান এবং তার দুই কানের ছিদ্রে তার দুই আঙ্গুল প্রবিষ্ট করান।

۷۱۲- حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُصَنِّى الحِمْصِيُّ ثَنَا بَقِيَّةُ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ سَالِمٍ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ أَبِي رَوَادٍ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَصْلَتَانِ مُعَلَّقَتَانِ فِي أَعْنَاقِ الْمُؤَذِنِينَ لِلْمُسْلِمِينَ صَلَاتُهُمْ وَصِيَامُهُمْ .


৭১২। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ 

মুয়াযযিনের কাঁধে মুসলমানদের দু'টি বিষয় অর্পিতঃ তাদের নামায ও রোযা ।

۷۱۳- حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُتَنى ثَنَا أَبُو دَاوُدَ ثَنَا شَرِيكَ عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ عَنْجَابِرِ ابْنِ سَمُرَةَ قَالَ كَانَ بِلال لَا يُؤَخِّرُ الْأَذَانَ عَنِ الْوَقْتِ وَرَبِّمَا أَخَّرَ الْإِقَامَةَ شَيْئًا


৭১৩। জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ওয়াক্ত হলে বিলাল (রাঃ) কখনো আযান দিতে বিলম্ব করতেন না। তবে তিনি কখনো ইকামতে কিছুটা বিলম্ব করতেন।

٧١٤ - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاتِ عَنْ أَشْعَثَ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي العَاصِ قَالَ كَانَ أَخِرُ مَا عَهِدَ إِلَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ لَا أَتَّخِذَ مُؤَدِّنَا يَأْخُذُ عَلَى الْآذَانِ أَجْرًا .


৭১৪। উসমান ইবনে আবুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত।

তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার থেকে সর্বশেষ যে অঙ্গীকার গ্রহণ করেছেন তা হলোঃ

আমি যেন বেতনভূক মুয়াযযিন নিয়োগ না করি ।

٧١٥ - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا مُحَمَّدُ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْأَسَدِيُّ عَنْ أَبِيإِسْرَائِيلَ عَنِ الْحَكَم عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ بِلَالٍ قَالَ أَمَرَنِي رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم أَنْ أَتَوبَ فِي الفَجْرِ وَنَهَانِي أَنْ أَتَوبَ فِي الْعِشَاءِ .


৭১৫ । বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ফজরের নামাযে তাসবীব করার নির্দেশ দেন এবং এশার নামাযে তাবসীর করতে নিষেধ করেন।

ফজরের নামাযের আযানে “আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাওম” (ঘুম থেকে নামায উত্তম) বাক্যটি দুইবার বলাকে তাসবীব বলে (অনুবাদক)।

٧١٦ - حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ رَافِعٍ ثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ عَنْ بِلالِ أَنَّهُ أَتَى النَّبِي هُ يُؤْذِنُهُ بِصَلَاةِ الْفَجْرِ فَقِيلَ هُوَ نَائِم فَقَالَ الصَّلاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ الصَّلاةُ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ فَأَقِرْتْ فِي تَأْذِيْنِ الْفَجْرِ فَثَبَتَ الأَمْرُ عَلَى ذلكَ .


৭১৬। বিলাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ফজরের নামায সম্পর্কে অবহিত করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এলেন।

তাকে বলা হলো যে, তিনি ঘুমিয়ে এই বাক্য ফজরের আযানে যোগ করা হলো এবং তদনুযায়ী আমল চলে আসছে ।

۷۱۷- حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا يَعلَى ابْنُ عُبَيْدِ ثَنَا الْأَفْرِيْقِيُّ عَنْزِيَادِ بْنِ نُعَيْمٍ عَنْ زِيَادِ بْنِ الْحَارِثِ الصَّدَائِي قَالَ كُنْتُ مَعَ رَسُولِ الله : سَفَرٍ فَأَمَرَنِي فَأَذَنْتُ فَارَادَ بِلال أَنْ يُقِيمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنْ أَخَا صَدًا ، قَدْ اذَنَ وَمَنْ أَذْنَ فَهُوَ يُقِيمُ


৭১৭। জিয়াদ ইবনুল হারিস আস-সুদাঈ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি এক সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম।

তিনি আমাকে নির্দেশ দিলে আমি আযান দিলাম। বিলাল (রাঃ) ইকামত দিতে চাইলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমার ভাই সুদাঈ আযান দিয়েছে। আর যে ব্যক্তি আযান দিবে সে-ই ইকামত দিবে।


🌐মুয়াযযিন যখন আযান দেয় তখন যা বলতে হবে।📓


আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে কুরআন সুন্নাত হাদীস,দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত বিষয়ে জানার জন্য চ্যনেলে {হে মুমিনগণ!}দেখুন।

সুনানে ইবনে মাজহা সহি হাদিস শুনুর জন্য ইউটুব চ্যনেস {হাদিস বিশ্বনবির বাণী}দেখুন।

আল-কুরআন ও হাদীসের আলোচনা পাড করার জন্য {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।
আল-কোরআন ১১৪টি সুরা শুনার জন্য ইউটুব চ্যেনেল {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।


 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.