ইবনে মাজাহ, ইমামের যা কর্তব্য, অধ্যায়-৫,অনুচ্ছেদ- ৪৭

সুনানে ইবনে-মাজাহ

অনুচ্ছেদঃ৪৭

بَابُ مَا يَجِبُ عَلَى الْإِمَامِ

ইমামের যা কর্তব্য।

۹۸۱ - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ ثَنَا عَبْدُ الحَمِيدِ بْنُ سُلَيْمَانَ أَخُرْ فُلَيْحٍ ثَنَا أَبُو حَازِمٍ قَالَ كَانَ سَهْلُ بْنُ سَعْدِ السَّاعِدِئُ يُقَدِّمُ فتْيَانَ قَوْمه يُصَلُّونَ بهِمْ فَقِيلَ لَهُ تَفْعَلُ وَلكَ مِنَ القَدَم مَا لَكَ قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُول الله صلى الله عليه وسلم يَقُولُ الاِمَامُ ضَامِنٌ فَإِنْ أَحْسَنَ فَلَهُ وَلَهُمْ وَإِنْ أَسَاءَ يَعْنِي فَعَلَيْهِ وَلَا عَلَيْهِمْ .

৯৮১। আবু হাযিম (রাঃ) বলেন, সাহল ইবনে সাদ আস-ছাইদি (রাঃ) তার গুত্রের যুবকদেরকে (ইমামতির জন্য) এগিয়ে দিতেন । তারা তাদের ইমামতিতে নামায পড়তেন। তাকে বলা হলো, আপনি এরূপ করছেন, অথচ আপনি (ইসলাম গ্রহণে) প্রবীণ। আপনার তা করার কারণ কি? 

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ ইমাম হলেন যিম্মাদার। তিনি উত্তম করলে (সুচারুরূপে নামায পড়লে) 

তার জন্যও উত্তম এবং মোক্তাদীদের জন্যও উত্তম (পুরস্কার)। 

তিনি খারাপ করলে তার দায় তার উপর বর্তাবে, মোক্তাদীদের উপর নয় ।

۹۸۲ - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا وَكِيعٌ عَنْ أُمِّ غُرَابِ عَنْ امْرَأَةِ يُقَالُ لَهَا عَقِيلَةُ عَنْ سَلَامَةَ بنت الحُرِّ أَخْت خَرَشَةَ قَالَتْ سَمِعْتُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ يَأْتِيعلى النَّاسِ زَمَانٌ يَقُومُونَ سَاعَةَ لَا يَجِدُونَ امَامًا يُصَلِّى بهم.

৯৮২। খারাশা (রা)-র বোন সালামা বিনতুল হুর (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ

লোকের উপর এমন এক সময় আসবে, যখন তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তাদের (নামাযে) ইমামতি করার মত যোগ্য লোক পাবে না।

۹۸۳ - حَدَّثَنَا مُحْرِرُ بْنُ سَلَمَةَ العَدَنِيُّ ثَنَا ابْنُ أَبِي حَازِمٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَرْمَلَةَ عَنْ أَبِي عَلِيَّ الْهَمْدَانِي أَنَّهُ خَرَجَ فِي سَفِينَةٍ فِيْهَا عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ الْجُهَنِيُّ فَحَانَتْ صَلَاةٌ مِّنَ الصَّلوات فَآمَرْنَاهُ أنْ يُؤْمَنَا وَقُلْنَا لَهُ إِنَّكَ أَحَقُّنَا بذلكَ أَنْتَ صَاحِبُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَبي فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ أَمْ ت النَّاسَ فَأَصَابَ فَالصَّلاةُ لَهُ وَلَهُمْ وَمَن انْتَقَص من ذلكَ شَيْئًا فَعَلَيْهِ وَلَا عَلَيْهِمْ.

৯৮৩। আবু আলী আল-হামদানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নৌভ্রমণে বের হন, তাতে উকবা ইবনে আমের আল-জুহানী (রাঃ)-ও ছিলেন। কোন এক নামাযের ওয়াক্ত উপস্থিত হলে আমরা তাকে আমাদের ইমামতি করতে অনুরোধ করলাম এবং তাকে বললাম, নিশ্চয় আমাদের মধ্যে আপনিই এর যোগ্য। আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী। কিন্তু তিনি (ইমামতি করতে) অস্বীকার করেন এবং বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ কোন ব্যক্তি লোকদের ইমামতি করলো এবং সঠিকভাবে নামায পড়লো, তাতে তার ও মোক্তাদীদের নামায হয়ে গেলো । 

কিন্তু যে ব্যক্তি তাতে কোন ত্রুটি করলো, তার দায় তার উপর

👪যে ব্যক্তি লোকদের ইমামতি করে সে যেন (নামায) সহজ (সংক্ষিপ্ত) করে 👉

---

আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে কুরআন সুন্নাত হাদীস,দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত বিষয়ে জানার জন্য চ্যনেলে {হে মুমিনগণ!}দেখুন।

সুনানে ইবনে মাজহা সহি হাদিস শুনুর জন্য ইউটুব চ্যনেস {হাদিস বিশ্বনবির বাণী}দেখুন।

আল-কুরআন ও হাদীসের আলোচনা পাড করার জন্য {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।

আল-কোরআন ১১৪টি সুরা শুনার জন্য ইউটুব চ্যেনেল {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।

---