Type Here to Get Search Results !

ইবনে মাজাহ, আযানের সূচনা, অধ্যায়-৩,অনুচ্ছেদ-১

ইবনে মাজাহ, আযানের সূচনা, অধ্যায়-৩,অনুচ্ছেদ-১
সুনান ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ৩

كتَابُ الْآذَانِ وَالسُّنَّةِ فِيهَا

(আযান ও তার সুন্নাত)

অনুচ্ছেদঃ ১

بَابُ بَدْءِ الْآذَانِ

আযানের সূচনা।

٦-٧- حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدٍ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ بْنِ مَيْمُونَ الْمَدَنِيُّ ثَنَا . الْحَرَانِيُّ ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ هَمَّ بِالْبُوقِ وَأَمَرَ بِالنَّاقُوسِ قنُمْتُ فَارِيَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ فِي الْمَنَامِ قَالَ رَأَيْتُ رَجُلاً عَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَخْضَرَانِ يَحْمِلُ نَاقُوْسًا فَقُلْتُ لَهُ يَا عَبْدَ الله تَبيعُ النَّاقُوسَ قَالَ وَمَا تَصْنَعُ بِهِ قُلْتُ أَنَادِي به إلى الصَّلاَةِ قَالَ أَفَلَا أَدُلُّكَ عَلَى خَيْرِ مِنْ ذَلِكَ قُلْتُ وَمَا هُوَ قَالَ تَقُولُ :الله اكبر الله اكبر الله اكبر الله اكبرُ اشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلا اللَّهُ أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلا اللهُ اشْهَدُ أَنْ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ حَيَّ الصَّلاةِ حَى عَلَى الصَّلاةِ حَى عَلَى الفَلَاحِ حَيَّ عَلَى الفَلَاحِ اللَّهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلا اللَّهُ. قَالَ فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ حَتَّى أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ بِمَا رَأَى قَالَ يَا رَسُول الله رَأَيْتُ رَجُلاً عَلَيْهِ ثَوْبَانِ أَخْضَرَانِ يَحْمِلُ نَاقُوْسًا فَقَصُ عَلَيْهِ الخَبَرَ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عليه وسلم إِنْ صَاحِبَكُمْ قَدْ رَأَى رُؤْيَا فَاخْرُجْ مَعَ بِلَالٍ إِلَى الْمَسْجِدِ فَالْقِهَا عَلَيْهِ وَلْيُنَادِ بِلال فَإِنَّهُ أَنْدَى صَوْتًا مِنْكَ قَالَ فَخَرَجْتُ مَعَ بِلالٍ إِلَى المَسْجِدِ فَجَعَلْتُ الْقِيْهَا عَلَيْهِ وَهُوَ يُنَادِى بِهَا قَالَ فَسَمِعَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَابِ بالصوتِ فَخَرَجَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ وَاللهِ لَقَدْ رَأَيْتُ مِثْلَ الَّذِي رَأَى . قَالَ أَبُو عُبَيْدٍ فَأَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرِ الْحَكَمِيُّ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَيْدِ الْأَنْصَارِي قَالَ فِي ذَلِكَ :

أحْمَدُ اللهَ ذا الجلال وذا الا

کرام حَمْداً عَلَى الْأَذَانِ كَثِيرًا

إِذَا أَتَانِي بِهِ الْبَشِيرُ مِنَ اللَّهِ

فِي لَيَالِي وَإِلَى بِهِنَّ ثَلاث

فاكرمَ بِهِ لَدَى بَشِيرا

كُلَّمَا جَاءَ زَادَنِي تَوْقِيرًا.

৭০৬। আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিঙ্গাধ্বনি করার মনস্থ করেন এবং ঢোল বাজিয়ে লোকদের (নামাযের জন্য) ডাকার নির্দেশ দেন।

এরপর আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রাঃ)-কে স্বপ্নে দেখানো হলো । তিনি বলেন, আমি সবুজ বর্ণের একজোড়া কাপড় পরিহিত এক ব্যক্তিকে একটি নাকূস বাহন করতে দেখলাম।

বৃহদাকার কাঠের উপর ক্ষুদ্রাকার কাঠ দিয়ে আঘাত করলে যে শব্দ সৃষ্টি হয়, তাকে নাকুস বলে (অনুবাদক)।

আমি তাকে বললাম, হে আল্লাহ্র বান্দা! তুমি কি নাকূস বিক্রয় করবে? সে বললো, তা দিয়ে তুমি কি করবে?

আমি বললাম, আমি তা দিয়ে নামাযের জন্য ডাকবো। সে বললো, আমি কি তোমাকে এর চাইতে উৎকৃষ্ট কোন জিনিস সম্পর্কে অবহিত করবো না?

আমি বললাম, তা কি? সে বললো, তুমি বলো :

“আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। আমি সাক্ষ্য দেই যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই।

আমি সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মাদ আল্লাহ্র রাসূল, আমি সাক্ষ্য দেই যে, মুহাম্মদ আল্লাহ্র রাসূল।

নামাযের দিকে এসো, নামাযের দিকে এসো। কল্যাণের দিকে এসো, কল্যাণের দিকে এসো ।

আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান। আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।”

রাবী বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ (রাঃ) বের হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসেন এবং যে স্বপ্ন তিনি দেখেছেন সে সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। 

তিনি বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি স্বপ্নযোগে একজোড়া সবুজ কাপড় পরিহিত এক ব্যক্তিকে নাকুস বহন করতে দেখলাম।

এরপর তিনি তাঁর কাছে সব ঘটনা খুলে বলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের এই সাথী একটি স্বপ্ন দেখেছে। তুমি বিলালের সাথে মসজিদে চলে যাও, তাকে এগুলো শিখিয়ে দাও এবং


বিলাল যেন আযান দেয়। কারণ বিলাল তোমার চাইতে উচ্চ কণ্ঠের অধিকারী। রাবী বলেন, আমি বিলালের সাথে মসজিদে গেলাম।

আমি তাকে শিখিয়ে দিলাম এবং তিনি তা উচ্চ স্বরে ঘোষণা দিলেন। রাবী বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)

এই বাক্যধ্বনি শুনে বেরিয়ে আসেন এবং বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহ্র শপথ! আমিও অনুরূপ স্বপ্ন দেখেছি ।

আবু উবাইদ (রাঃ) বলেন, আবু বাক্ আল-হাকামী (রাঃ) আমাকে অবহিত করেছেন যে, আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ আল-আনসারী (রাঃ) এ সম্পর্কে (কবিতা) বলেনঃ

আমি মহামহিম গৌরবান্বিত আল্লাহ্র অশেষ প্রশংসা করছি আযান দেয়ার জন্য।

যখন আল্লাহ্ পক্ষ থেকে সুসংবাদদাতা তা নিয়ে আমার নিকট এলো, আমাকে সুসংবাদ দেয়ার জন্য তাকে সম্মান করে, সে তিন রাত আমাকে আযান দিলো, যখনই সে এলো, আমার মর্যাদা বাড়িয়ে দিলো।

۷۰۷- حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَبْدِ اللهِ الوَاسِطِيُّ تَنَا أَبِي عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بنِ إِسْحَاقَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيْهِ أَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اسْتَشَارَ النَّاسَ لِمَا يهمهم إلى الصَّلَاةِ فَذَكَرُوا الْبُوْقَ فَكَرِهَهُ مِنْ أَجْلِ الْيَهُودِ ثُمَّ ذَكَرُوا النَّاقُوسَ فَكَرِهَهُ مِنْ أَجْلِ النَّصَارَى فَارِى النداء تِلْكَ اللَّيْلَةَ رَجُلٌ مِّنَ الْأَنْصَارِ يُقَالُ لَهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ زَيْدٍ وَعُمَرُ ابْنُ الخَطَّابِ فَطَرَقَ الأَنْصَارِيُّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلًا فَأَمَرَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم بلالاً بِهِ . فَاذْنَ قَالَ الزُّهْرِيُّ وَزَادَ بِلالُ فِي نِدَاءِ صَلَاةِ الْغَدَاةِ خَيْرٌ مِنَ النَّوْمِ فَأَقَرِّهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ عُمَرُ يَا رَسُولَ اللهِ قَدْ رَأَيْتَ الصلاة.مثْلَ الَّذِي رَأَى وَلَكِنَّهُ سَبَقَنِي .


৭০৭। সালিম (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের জন্য সমবেত করার ব্যাপারে সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করেন।

তারা শিঙ্গার উল্লেখ করেন, কিন্তু এটি ইহুদীদের যন্ত্র বলে তিনি অপছন্দ করেন।

অতঃপর তারা নাকূসের কথা উল্লেখ করেন। কিন্তু এটি খৃষ্টানদের ঘণ্টা বলে তিনি অপছন্দ করেন। 

সেই রাতে আবদুল্লাহ ইবনে যায়েদ নামক এক আনসারীকে স্বপ্নে আযানের পদ্ধতি দেখানো হলো এবং উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)-ও (রাতে একই স্বপ্ন দেখেন)।

আনসারী সাহাবী রাতেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল (রা)-কে আযানের নির্দেশ দিলে তিনি আযান দেন। যুহরী (রাঃ) বলেন, বিলাল (রাঃ) ফজরের নামাজে (গুম থেকে নামাজ উত্তম)

ব্যকটি সংযোজন করেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা বহাল রাখেন। উমার (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! 

নিশ্চয় আমিও এই ব্যক্তির অনুরূপ স্বপ্ন দেখেছি, কিন্তু সে আমার আগেই পৌঁছে গেছে।

🌐 আযানের তারজীর বিবরণ।📓📓


আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে কুরআন সুন্নাত হাদীস,দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত বিষয়ে

জানার জন্য চ্যনেলে {হে মুমিনগণ!}দেখুন।
সুনানে ইবনে মাজহা সহি হাদিস শুনুর জন্য ইউটুব চ্যনেস {হাদিস বিশ্বনবির বাণী}দেখুন।
আল-কুরআন ও হাদীসের আলোচনা পাড করার জন্য {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।
আল-কোরআন ১১৪টি সুরা শুনার জন্য ইউটুব চ্যেনেল {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.