সুনান ইবনে মাজাহ
অধ্যায়ঃ ২
كِتَابُ الصَّلاة
অনুচ্ছেদঃ১০
بَاب مَنْ نَامَ عَنِ الصَّلَاةِ أَوْ نَسِيَهَا
যে ব্যক্তি নামায না পড়ে ঘুমিয়ে গেল বা নামাযের কথা ভুলে গেল।
٦٩٥ - حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيِّ الْجَهْضَمِيُّ ثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ ثَنَا حَجَاجٍ ثَنَا قَتَادَةُ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكَ قَالَ سُئِلَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرَّجُلِ يَغْفُلُ عَنِ الصَّلَاةِ أَوْ يَرْقُدُ عَنْهَا قَالَ يُصَلِّيْهَا إذا ذكَرهَا
৬৯৫। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, এক ব্যক্তি নামাযের কথা ভুলে গেছে অথবা নামা না পড়েই ঘুমিয়ে পড়েছে। তিনি বলেনঃ
যখনই তার স্মরণে আসবে, তখনই সে ঐ নামায পড়বে ।
٦٩٦ - حَدَّثَنَا حُبَارَةُ بْنُ الْمُغَلِسِ ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ نَسِيَ صَلَاةٌ فَلْيُصَلِهَا إِذَا ذَكَرَهَا
৬৯৬। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের কথা ভুলে গেলো, সে যেন তা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে নেয়।
٦٩٧ - حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْى ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ ابْنُ وَهْبٍ ثَنَا يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ ابْنِ الْمُسَيِّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ لَهُ حِيْنَ قَفَلَ مِنْ غَزْوَةِ خَيْبَرَ فَسَارَ لَيْلَةَ حَتَّى إِذَا أَدْرَكَهُ الكُرَى عَرَسَ وَقَالَ لِبِلَالَ إِكْلَا لَنَا اللَّيْلَ فَصَلَّى بِلال مَا قَدِرَ لَهُ وَنَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ فَلَمَّا تَقَارَبَ الْفَجْرُ اسْتَنَدَ بِلال إلَى رَاحِلَتِهِ مُوَاجِهَ الفَجْرِ فَغَلَبَتْ بِلالاً عَيْنَاهُ وَهُوَ مُسْتَنِدٌ إِلَى رَاحِلَتِهِ فَلَمْ يستيقظ بِلال وَلَا أَحَدٌ مِنْ أَصْحَابِهِ حَتَّى ضَرَبَتْهُمُ الشَّمْسُ فَكَانَ رَسُولُ اللهِ أولهم اسْتَيْقَاظًا فَفَزِعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَيْ بِلالُ فَقَالَ بِلالُ أَخَذَ بِنَفْسِيالَّذِي أَخَذَ بِنَفْسِكَ بِأَبِي أَنْتَ وَأَمَى يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ اقْتَادُوا فَاقْتَادُوا رَوَاحِلَهُمْ شَيْئًا ثُمَّ تَرَضًا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَمَرَ بِلالاً فَأَقَامَ الصَّلَاةَ فَصَلَّى بِهِمُ الصُّبْحَ فَلَمَّا قَضَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الصَّلاةَ قَالَ مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلٌ قَالَ (وَأَقِمِ الصَّلاةَ لِذِكْرِى) قَالَ وَكَانَ ابْنُ شِهَابٍ يَقْرَؤُهَا لِلذِكْرَى .
৬৯৭। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তনকালে সারারাত ধরে পথ চলতে থাকেন।
অবশেষে তিনি ঘুমে কাতর হয়ে বিশ্রামের জন্য এক স্থানে অবতরণ করেন এবং বিলাল (রাঃ)-কে বলেনঃ তুমি আমাদের জন্য রাতের হেফাজত করবে।
অতএব বিলাল (রাঃ) তার সাধ্যমত নামায পড়তে থাকেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ ঘুমিয়ে পড়েন ।
ফজরের সময় নিকটবর্তী হলে বিলাল (রাঃ) তার সওয়ারীর শিবিকার সাথে হেলান দিয়ে পূর্ব আকাশের দিকে মুখ করে বসলেন।
শিবিকার সাথে হেলান দেয়া অবস্থায় তিনি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। বিলাল (রাঃ) ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীদের কেউই ঘুম থেকে জাগতে পারেননি, যাবত না তাদের উপর সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়লো।
তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জেগে উঠেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বলেনঃ
হে বিলাল! বিলাল (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোক। যেই সত্তা আপনার জান নিয়েছেন, তিনি আমার জানও নিয়েছেন। তিনি বলেনঃ তোমরা সামনে অগ্রসর হও।
অতএব তারা তাদের সওয়ারী নিয়ে সামনে অগ্রসর হন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উযু করেন এবং বিলাল (রাঃ)-কে ইকামত দেওয়ার নির্দেশ দেন।
তিনি তাদের নিয়ে ফজরের নামায পড়েন। নামায সমাপনান্তে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি নামাযের কথা ভুলে যায়, সে যেন তা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে পড়ে নেয়। কেননা মহান আল্লাহ বলেনঃ
“আমার স্মরণে তুমি নামায কায়েম করো” (সূরা তহাঃ১৪)।
রাবী বলেন, ইবনে শিহাব (রাঃ) তিলাওয়াত করতেনঃ
('রা' অক্ষরের উপর মাদ্দ সহকারে)।
٦٩٨ - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدِ عَنْ ثَابِتْ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ رَبَاحٍعَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ ذَكَرُوا تَفْرِيْطَهُمْ فِي النَّوْمِ فَقَالَ نَامُوا حَتَّى طَلَعَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَيْسَ فِي النَّوْمِ تَفْرِياً إِنَّمَا التَّفْرِيْطُ فِي الْيَقْظَةِ فَإِذَا نَسِيَأَحَدُكُمْ صَلَاةً أَوْ نَامَ عَنْهَا فَلْيُصَلِهَا إِذا ذكَرَهَا ولِوَقْتِهَا مِنَ الْغَدِ. قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَبَاحٍ فَسَمِعَنِى عِمْرَانُ بْنُ الْحُصَيْنِ وَأَنَا أُحَدِّثُ بِالْحَدِيثِ فَقَالَ يَا فَتًى أَنْظُرْ كَيْفَ تُحَدِّثُ فَإِنِّي شَاهِدٌ لِلحَدِيْثِ مَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَمَا أَنْكَرَ مِنْحديثه شَيْئًا
৬৯৮। আবু কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবীগণ তাদের ঘুমে বাড়াবাড়ির কথা আলোচনা করলেন। কেউ বলেন, লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে, এমনকি সূর্য উঠে যায়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ঘুমে কোন বাড়াবাড়ি নেই, বাড়াবাড়ি হয় জাগ্রত অবস্থায়।
সুতরাং তোমাদের কেউ নামাযের কথা ভুলে গেলে বা তা না পড়ে ঘুমিয়ে গেলে সে যেন তা স্মরণে আসার সাথে সাথে পড়ে নেয় অথবা পরদিন স্ব স্ব ওয়াক্তে পড়ে নেয় ।
আবদুল্লাহ ইবনে রাবাহ (রাঃ) বলেন, ইমরান ইবনুল হুসাইন (রাঃ) আমাকে এ হাদীস বর্ণনা করতে শুনে বলেন, হে যুবক। চিন্তা করে দেখো, তুমি কিভাবে হাদীস বর্ণনা করছো?
এই ঘটনার সময় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম। রাবী বলেন, ইমরান (রাঃ) এই হাদীসের কিছুই অস্বীকার করেননি।
👇👇ওজর ও জরুরী অবস্থায় নামাযের ওয়াক্ত।👉👉
আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে কুরআন সুন্নাত হাদীস,দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত বিষয়ে জানার জন্য চ্যনেলে {হে মুমিনগণ!}দেখুন।
সুনানে ইবনে মাজহা সহি হাদিস শুনুর জন্য ইউটুব চ্যনেস {হাদিস বিশ্বনবির বাণী}দেখুন।
আল-কুরআন ও হাদীসের আলোচনা পাড করার জন্য {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।
আল-কোরআন ১১৪টি সুরা শুনার জন্য ইউটুব চ্যেনেল {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।