অনুচ্ছেদ : ১৩
بَابُ اذَا قَرَا الامامُ فَأَنْصِتُوا
ইমাম যখন কিরাআত পড়েন তখন তোমরা নীরব থাকো।
٨٤٦- حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا أَبُو خَالد الْأَحْمَرُ عَنِ ابْنِ عَجْلَانَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا جَعَلَ الامامُ لِيُؤْتُم به فَقَاذَا كَبُرَ فَكَبَرُوا وَإِذَا قَرَا فَانْصتُوا وَإِذَا قَالَ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِيْنَ) فَقُولُوا اميْنَ وَإِذَا رَكَعَ فَاركَعُوا وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا اللَّهُم رَبَّنَا وَلَكَ الحَمْدُ وإِذا سَجَدَ فَاسْجُدُوا وَإِذا صَلَّى جَالِسًا فَصَلُّوا جُلُوسًا أَجْمَعِينَ .
৮৪৬। আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ঃ অনুসরণ করার জন্যই তো ইমাম নিযুক্ত করা হয়। সুতরাং ইমাম যখন তাকবীর বলেন, তোমরাও তাকবীর বলো। যখন তিনি কিরাআত পড়েন তখন তোমরা নীরব থাকো। যখন তিনি “গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ-দোয়ালীন” বলেন, তখন তোমরা ‘আমীন' বলো। যখন তিনি রুকূ করেন, তখন তোমরাও রুকূ সুনান ইবনে মাজা করো। আর যখন তিনি “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলেন, তখন তোমরা “আল্লাহুম্মা রব্বানা ওয়ালাকাল হাম্দ” বলো। যখন তিনি সিজদা করেন, তখন তোমারাও সিজদা করো। তিনি বসা অবস্থায় নামায পড়লে তোমরাও সকলে বসা অবস্থায় নামায পড়ো।
٨٤٧ - حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ مُوسَى القَطَانُ ثَنَا جَرِيرٌ عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ عَنْ قَتَادَةَ . عَنْ أَبِي غَلَابٍ عَنْ حَطَانَ بْنِ عَبْدِ اللهِ الرِّقَاشِي عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِي قَالَ قَالَ رَسُولُ الله الله إذا قَرَأ الْامَامُ فَانْصِتُوا فَإِذَا كَانَ عِنْدَ الْقَعْدَةِ فَلْيَكُنْ أُولَ
৮৪৭। আৰু মূসা আল-আশআরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : ইমামের কিরাআত পাঠের সময় তোমরা নীরব থাকবে। তিনি তাশাহ্হুদ পাঠের জন্য বসলে তোমাদের যে কোন মুসল্লীর প্রথম যিকির যেন হয় তাশাহ্হুদ ।
٨٤٨ - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَهِشَامُ ابْنُ عَمَّارٍ قَالَا تَنَا سُفْيَانُ بْنُعبينَةَ عَن الزُّهْرِيِّ عَن ابْن أَكَيْمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ صَلَّى النَّبي بأَصْحَابه صَلَاةَ نَظُنُّ أَنَّهَا الصُّبْحُ فَقَالَ هَلْ قَرَأَ مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ قَالَ رَجُلٌ أَنَا قَالَ إِنِّي أَقُولُ مَالِي أَنَازَعُ الْقُرْآنَ .
৮৪৮। আবু হুরায়রা (রা) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের নিয়ে নামায পড়লেন, আমাদের মতে তা ছিল ফজরের নামায। নামাযশেষে তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ কি কিরাআত পড়েছে? এক ব্যক্তি বললো, আমি পড়েছি। তিনি বলেন : তাই তো (মনে মনে) বলছিলাম, আমার কুরআন পাঠে বিঘ্ন ঘটছে কেন!
٨٤٩- حَدَّثَنَا جَمِيلُ بْنُ الحَسَنِ ثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى ثَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنِ ابْنِ أكَيْمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ نَحْوَهُ وَزَادَ فِيهِ قَالَ فَسَكَتُوا بَعْدُ فِيمَا جَهَرَ فِيهِ الْإِمَامُ .
৮৪৯। আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে নামায পড়লেন... উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ। এই বর্ণনায় আরো আছে ঃ যে নামাযে ইমাম সশব্দে কিরাআত পড়েন, তখন থেকে সেই নামাযে তারা কিরাআত পাঠ ত্যাগ করেন ।
٨٥٠- حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ ثَنَا عُبَيْدُ اللهِ بْنُ مُوسَى عَنِ الْحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ عَنْ جَابِرٍ وَعَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَ لَهُ إِمَامٌ فقال له الإمام له قراءة .
৮৫০। জাবির (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যাদের ইমাম আছে (যারা ইমামের সাথে নামায পড়ে), তার কিরাআতই তাদের কিরাআত ।
🙆🙆সশব্দে আমীন বলা।🙏🙏
আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে কুরআন সুন্নাত হাদীস,দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত বিষয়ে জানার জন্য চ্যনেলে {হে মুমিনগণ!}দেখুন।