Type Here to Get Search Results !

ইবনে মাজাহ, সফরে নামায কসর (হ্রাস) করা, অধ্যায়-৫, অনুচ্ছেদ-৭৩

🌎অধ্যায়-৫। গণনা-৭৩  সফরে নামায কসর (হ্রাস) করা {৪৬৬}🙏

সুনানে ইবনে-মাজাহ

অনুচ্ছেদঃ ৭৩

بَابُ تَقْصِيرِ الصَّلاةِ فِي السَّفَرِ

সফরে নামায কসর (হ্রাস) করা।

١٠٦٣- حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا شَرِيكَ عَنْ زُبَيْدِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ابْنِ أبِي لَيْلى عَنْ عُمَرَ قَالَ صَلَاةُ السِّفَرِ رَكْعَتَانِ وَالجُمُعَةُ رَكْعَتَانِ وَالعِيْدُ رَكْعَتَانِ تَمَام غَيْرُ قَصْرٍ عَلَى لِسَانِ مُحَمد صلى الله عليه وسلم

১০৬৩। উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যবানীতে সফরের নামায দুই রাকআত, জুমুআর নামায দুই রাকআত এবং ঈদের নামায দুই রাকআত । এগুলো পূর্ণ নামায, এগুলোর কসর নাই।

١٠٦٤ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ تَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ أَنْبَأَنَا يَزِيدُ بْنُ زياد بن أبي الجَعْدِ عَنْ زُبَيْد عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْن أبي لَيْلَى عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ


ফজর ও মাগরিবের নামায সফরেও পর্যায়ক্রমে দুই ও তিন রাকআতই পড়তে হবে । এই দুই ওয়াক্তের কোন কসর নাই (অনুবাদক)।

عَنْ عُمَرَ قَالَ صَلَاةُ السَّفَرِ رَكْعَتَان وَصَلاةُ الجُمُعَة رَكْعَتَان والفطرُ وَالْأَضْحَى رَكْعَتَان تَمَام غَيْرُ قَصْرُ عَلَى لِسَانٍ مُحَمد صلى الله عليه وسلم


১০৬৪। উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যবানীতে সফরের নামায দুই রাকআত, জুমুআর নামায দুই রাকআত, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামায দুই রাকআত করে, এগুলো কসর ব্যতীত পূর্ণ নামায ।

١٢٦٥ - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنِ ابْنِ أَبِي عَمَّارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْن بَابَيْهِ عَنْ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ قَالَ سَالَتْ عُمَرَ بْنَ الخطاب قلتُ اليْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلاة ان خِفْتُمْ أَن يُفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا ) وَقَدْ آمَنَ النَّاسُ فَقَالَ عُجِبْتُ مِمَّا عَجِبْتَ مِنْهُ فَسَأَلْتُ رَسُولَ الله عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ صَدَقَةٌ تَصَدَّقَ اللهُ بهَا عَلَيْكُمْ فَاقْبلُوا صَدَقَتَهُ .

+

১০৬৫। ইয়ালা ইবনে উমাইয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রা)-এর নিকট এই আয়াত উল্লেখপূর্বক (অনুবাদ)। 

“যদি তোমাদের আশঙ্কা হয় যে, কাফেররা তোমাদের জন্য ফিতনা সৃষ্টি করবে, তবে নামায সংক্ষিপ্ত করলে এতে তোমাদের কোন দোষ নেই” জিজ্ঞাসা করলাম যে, মানুষ তো এখন নিরাপদে আছে? তিনি বলেন, তুমি যে বিষয়ে বিস্ময় বোধ করছো,

আমিও সে বিষয়ে বিস্ময় বোধ করেছিলাম। এ বিষয়ে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেনঃ এতো একটি দানবিশেষ, যা আল্লাহ তাআলা তোমাদের দিয়েছেন। কাজেই তোমরা তাঁর দান গ্রহণ করো ।

١٠٦٦ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْح أَنْبَانَا اللَّيْثُ بنُ سَعْدٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ ابْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أُمَيَّةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَالِدٍ أَنَّهُ قَالَ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ انَّا نَجِدُ صَلَاَةَ الحَضَرِ وَصَلاَةَ الخَوْفِ فِي الْقُرْآنِ وَلَا نَجِدُ صَلَاةَ السِّفَرِ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ إِنَّ اللهَ بَعَثَ إِلَيْنَا مُحَمَّدًا لَهُ وَلَا نَعْلَمُ شَيْئًا فَإِنَّمَا نَفْعَلُ كَمَا رَأَيْنَا مُحَمدا لله يَفْعَلُ.


১০৬৬। উমাইয়্যা ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ)-কে বলেন, 

আমরা কুরআনুল করীমে মুকীম ব্যক্তির নামায ও শঙ্কাকালীন নামায (সালাতুল খাওফ) সম্পর্কে বর্ণনা পাই, অথচ মুসাফিরের নামাযের বর্ণনা পাই না। আবদুল্লাহ (রাঃ) তাকে বলেন, আল্লাহ তাআলা আমাদের নিকট মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণ করেছেন এবং আমরা কিছুই জানতাম না। আমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যেরূপ করতে দেখেছি, আমরাও অবশ্যি তদ্রূপ করি ।

١٠٦٧ - حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ أَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ بِشَرِ بْنِ حَرْبٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ كَانَ رَسُولُ الله صلى الله عليه وسلم إذا خَرَجَ من هذه المدينة لَمْ يَرْهُ عَلَى رَكْعَتَيْن حَتَّى يرجع إليها


১০৬৭। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মদীনা শহর থেকে কোথাও রওনা হয়ে গেলে, এখানে ফিরে না আসা পর্যন্ত দুই রাকআতের অধিক নামায পড়তেন না ।

-١٠٦٨ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ المَلك بن أبى الشوارب وَجَبَارَةُ بْنُ الْمُغلس قَالاً ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ بُكَيْر بن الْأَخْنَس عَنْ مُجَاهِدٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاس قَالَ افْتَرَضَ الله الصَّلاةَ عَلى لِسَان نَبِيِّكُمْ فِي الحَضَرِ أَرْبَعًا وَفِي السَّفَرِ رَكْعَتَيْنِ


১০৬৮। ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা তোমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যবানীতে (তাঁর বান্দাদের উপর) মুকীম অবস্থায় চার রাকআত এবং মুসাফির অবস্থায় দুই রাকআত নামায ফরয করেছেন ।

👇সফরে দুই ওয়াক্তের নামায একত্রে পড়া।👨


আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে কুরআন সুন্নাত হাদীস,দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত বিষয়ে জানার জন্য চ্যনেলে {হে মুমিনগণ!}দেখুন।

সুনানে ইবনে মাজহা সহি হাদিস শুনুর জন্য ইউটুব চ্যনেস {হাদিস বিশ্বনবির বাণী}দেখুন।

আল-কুরআন ও হাদীসের আলোচনা পাড করার জন্য {ইসলামিক_একাডেমি_এনপি}দেখুন।

আল-কোরআন ১১৪টি সুরা শুনার জন্য ইউটুব চ্যেনেল {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.