Type Here to Get Search Results !

ইবনে মাজাহ, ঋতুবতী নারীর হায়েযের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর রক্ত নির্গত হলে ,অধ্যায়-১,অনুচ্ছেদ-১১৫

ইবনে মাজাহ, ঋতুবতী নারীর হায়েযের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর রক্ত নির্গত হলে ,অধ্যায়-১,অনুচ্ছেদ-১২৫
সুনান ইবনে মাজাহ

(প্রথম খণ্ড)

অধ্যায়ঃ ১

كِتَابُ الطَّهَارَةِ وَسُنَنِهَا

অনুচ্ছেদঃ ১১৫

بَاب مَا جَاءَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ الَّتِي قَدْ عُدَّتْ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا قَبْلَ أَنْ يَسْتَمِرَّ بِهَا الدَّمُ

ঋতুবর্তী নারীর হায়েযের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর রক্ত নির্গত হলে।

٦٢٠ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْح أَنَا اللَّيْتُ ابْنُ سَعْدِ عَنِ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ بكَيْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ الْمُنْذِرِ بْنِ الْمُغِيرَةَ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنْ فَاطِمَةَ بِنْتَأَبِي حُبَيْشِ حَدَّثَتْهُ أَنَّهَا أَتَتْ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَشَكَتْ إِلَيْهِ الدَّمَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ إنما ذلك عرقٌ فَانْظُرِى إِذا أَتَى قَرُوكَ فَلا تُصَلِّي فَإِذَا مَرَّ الْقَرْهُ فَتَطَهِّرِي ثُمَّ صَلَّى مَا بَيْنَ الْقَرْءِ إِلَى الْقَرْءِ .


৬২০। উরওয়া ইবনু যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। ফাতিমা বিনতে আবু হুবাইশ (রাঃ) তাকে বলেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট উপস্থিত হয়ে তার কাছে ঋতুস্রাব সম্পর্কে অভিযোগ করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তা এক প্রকার শিরাজনিত রোগ। 

সুতরাং তুমি লক্ষ্য রাখবে যে, তোমার হায়েয শুরু হলে নামায পড়বে না। হায়েযকাল উত্তীর্ণ হলে পর তুমি পবিত্রতা অর্জন করবে, অতঃপর দুই হায়েযের মধ্যবর্তী কালে নামায পড়বে।

٦٢١ - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ الْجَرَاحِ ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدِحِ وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَا تَنَا وَكِيعٌ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ حُبَيْشَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ اسْتَحَاضُ فَلا أَظْهرُ أَفَادَعُ الصَّلاةَ قَالَ لا إِنَّمَا ذَلِكَ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالْحَيْضَةِفَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعَى الصَّلاةَ وَإِذَا ادْبُرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكَ الدَّمَ وَصَلَّى هَذَا حديث وكيع .

৬২১। আয়শা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! 

আমার অনবরত রক্তস্রাব হতেই থাকে এবং আমি পবিত্র হতে পারি না। আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? তিনি বলেনঃ না, বরং এটি হচ্ছে একটি শিরাজনিত রোগ এবং এটা হায়েযের রক্ত নয় 

অতএব তোমার ঋতুস্রাব দেখা দিলে তুমি নামায ছেড়ে দিবে। অতঃপর ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গেলে তুমি রক্ত ধুয়ে ফেলে নামায পড়বে।

٦٢٢ - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْى ثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ إِمْلَاء عَلَى مِنْ كِتَابِهِ وَكَانَ السَّائِلُ غَيْرِى أَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ عُمَرَ ابْنِ طَلْحَةَ عَنْ أَمْ حَبِيْبَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ كُنْتُ اسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً طَوِيلَةً قَالَتْ فَجِئْتُ إِلَي النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَسْتَفْتِيهِ وَأَخْبِرُهُ قَالَتْ فَوَجَدْتُهُ عِنْدَ أُخْتِى زَيْنَبَ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ لِي إِلَيْكَ حَاجَةً قَالَ . وَمَا هِيَ أَى هَنْتَاهُ قُلْتُ إِنِّي أَسْتَحَاصُ حَيْضَةً طويلة كَبِيرَةً وَقَدْ مَنَعَتْنِي الصَّلاةَ والصُّوْمَ فَمَا تَأْمُرُنِى فِيهَا قَالَ انْعَتُ لكِ الكَرسُفَ فَإِنَّهُ يُذْهِبُ الدِّمَ قُلْتُ هُوَ اكْثَرُ فَذَكَرَ نَحْوَ حَدِيْثِ شَرِيكَ .

৬২২। উম্মু হাবীবা বিনতে জাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমার ইস্তিহাযার রক্ত খুব বেশি দিন ধরে নির্গত হতো। আমি এ ব্যাপারে সমাধান জানতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এলাম এবং তাঁকে বিষয়টি অবহিত করলাম। রাবী বলেন, আমি তাঁকে আমার বোন যয়নবের নিকট পেলাম। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! 

আপনার সাথে আমার একটি বিশেষ প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন : তা কি, হে আমার প্রিয় শ্যালিকা? আমি বললাম, আমার খুব বেশি পরিমাণে দীর্ঘ সময় ধরে ইস্তিহাযার রক্ত আসে, যা আমাকে নামায-রোযা থেকে বিরত রাখে। 

এ ব্যাপারে আপনি আমাকে কি হুকুম করেন? তিনি বলেন, আমি তোমাকে তুলার পট্টি ব্যবহারের নির্দেশ দিচ্ছি। কেননা তা রক্ত প্রতিরোধক । 

আমি বললাম, তা পরিমাণে আরও বেশি।... পরবর্তী বর্ণনা শারীকের হাদীসের অনুরূপ।

٦٢٣ - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَا تَنَا أَسَامَةٌ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ نَافِعٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ سَأَلَتِ امْرَأَةٌ النبي صلى الله عليه وسلم قَالَتْ إِنِّي أَسْتَحَاصُ فَلَا أَطْهُرُ أَفَادَعُ الصَّلوةَ قَالَ لا وَلَكِنْ دَعـ قدر الأيامِ وَاللَّيَالِي التِي كُنْتِ تَحِيْضِينَ قَالَ أَبُو بَكْرِ فِي حَدِيْثِهِ وَقَدْرَهُنَّ مِنَالشَّهْرِ ثُمَّ اغْتَسِلِي وَاسْتَدْفِرِى (وَاسْتَغْفِرِي) بِثَوْبِ وَصَلَّى .

৬২৩। উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক মহীলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট সমাধান জানতে চেয়ে বলেন, আমার অনবরত রক্তস্রাব হয়, আমি কখনো পবিত্র হই না ।

আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? তিনি বলেনঃ না, বরং তুমি তোমার হায়েযের মেয়াদে নামায ত্যাগ করো।

আবু বাক্ (রাঃ)-এর রিওয়ায়াতে আছেঃ প্রতি মাসে হায়েযের সমপরিমাণ মেয়াদ নির্ধারণ করো, অতঃপর গোসল করে কাপড়ের পট্টি বেঁধে নামায পড়ো।

حَمَّد وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَا ثَنَا وَكِيعٌ عَنِ ٦٢٤ - حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ وَ أَبُو الْأَعْمَشِ عَنْ حَبِيبٍ ابْن أبي ثابت عَنْ عُروة بن الزبير عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ حَاءَتْ فَاطِمَةً بِنْتِ أَبِي حُبَيْش إِلى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أَسْتَحَاضُ فَلا أطهر أَفَادَعُ الصَّلاةَ قَالَ لا إِنَّمَا ذَلِكَ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالْحَيضَةِ اجْتَنِي الصَّلاةَ أيَّامَ مَحِيضِكَ ثُمَّ اغْتَسِلِي وَتَوَضَيْ لِكُلِّ صَلَاةٍ وَإِنْ قَطرَ الدَّمُ عَلَى الحَصِيرِ .

৬২৪ । আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে আবু হুবাইশ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! 

আমার রক্তস্রাব হতেই থাকে এবং আমি কখনো পবিত্র হতে পারি না। আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? তিনি বলেনঃ না,এটা এক প্রকার শিরাজনিত রোগ, এটা হায়েযের রক্ত নয়। 

তুমি তোমার হায়েযের মেয়াদকাল নামায থেকে বিরত থাকো, অতঃপর গোসল করো এবং প্রতি ওয়াক্ত নামাযের জন্য উযু করে নামায পড়ো, যদিও নামাযের পাটিতে রক্ত পড়ে।

٦٢٥ - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ وَإِسْمَاعِيلُ ابْنُ مُوسَى قَالَا تَنَا شَرِيكَ عَنْ أَبِي البَقْطَانِ عَنْ عَدِي بْنِ ثَابِتِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ المُسْتَحَاضَةُ تَدَعُ الصَّلاَةَ أَيَّامَ اقْرَآئِهَا ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَتَوَضًا لِكُلِّ صَلَاةٍوَتَصُومُ وَتُصَلِي

৬২৫। আদী ইবনে সাবিত (রাঃ) থেকে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : ইস্তিহাযায় ( রক্তপ্রদরে) আক্রান্ত নারী তার হায়েযের মেয়াদকাল নামায ত্যাগ করবে। এরপর সে গোসল করবে এবং প্রতি ওয়াক্ত নামাযের জন্য উযু করবে এবং নামায-রোযা করবে।

👇কোন নারীর ইস্তিহাযা ও হায়েযের রক্ত গোলমাল হয়ে গেলে হায়েযের মেয়াদের উপর নির্ভর করা যাবে না ।👳


আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে কুরআন সুন্নাত হাদীস,দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত বিষয়ে জানার জন্য চ্যনেলে {হে মুমিনগণ!}দেখুন।

সুনানে ইবনে মাজহা সহি হাদিস শুনুর জন্য ইউটুব চ্যনেস {হাদিস বিশ্বনবির বাণী}দেখুন।

আল-কুরআন ও হাদীসের আলোচনা পাড করার জন্য {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।
আল-কোরআন ১১৪টি সুরা শুনার জন্য ইউটুব চ্যেনেল {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.