Type Here to Get Search Results !

ইবনে মাজাহ, সালাম ফিরানোর পর যা বলতে হয় ,অধ্যায়-৫,অনুচ্ছেদ-৩২

ইবনে মাজাহ, সালাম ফিরানোর পর যা বলতে হয় ,অধ্যায়-৫,অনুচ্ছেদ-৩২
সুনানে ইবনে-মাজাহ

অনুচ্ছেদ ৩২

بَابُ مَا يُقَالُ بَعْدَ التَّسْلِيمِ

সালাম ফিরানোর পর যা বলতে হয়।


٩٢٤ - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ المَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ ثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ قَالَ ثَنَا عَاصِمِ الْأَحْوَلُ عَنْ عبد الله بن الحارث عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ الله الله إذا سَلَّمَ لَمْ يَقْعُدُ الأ مقدار مَا يَقُولُ اللهم انت السّلامُ وَمِنْكَ السّلامُ تَبَارَكْتَ يَا ذا الجلال والاكرام.


৯২৪ । আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাম ফিরানোর পর নিম্নোক্ত দোয়া পড়ার অতিরিক্ত সময় বসতেন নাঃ  “হে আল্লাহ! আপনিই শাস্তি বিধাতা এবং আপনার পক্ষ থেকেই শান্তি আসে। হে মহিমান্বিত ও গৌরবময় সত্তা! আপনি প্রাচুর্যময়” ।


٩٢٥ - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ثَنَا شَبَابَةُ ثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ عَنْ مَوْلَى لِأُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ إِذَا صَلَّى الصبح حينَ يُسَلِمُ اللَّهُمُ انّى أَسَأَلَكَ عَلَمَّا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً .


৯২৫। উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামায পড়ে সালাম ফিরিয়ে বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক ও এবং কবুল হওয়ার যোগ্য কর্মতৎপরতা প্রার্থনা করি”


٩٢٦ - حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْب ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَلَيَّةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلِ وَأَبُو يَحْيَ التيمي وأبو الأَجْلحِ عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِهِ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم خَصْلَتَانِ لاَ يُحْصِبْهِمَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ إِلا دَخَلَ الْجَنَّةَ وَهُمَا يَسِيرٌ وَمَنْ يَعْمَلُ بِهِمَا قَلِيلٌ يُسَبِّحُ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ عَشْرًا وَيُكَبِّرُ عَشْرًا وَيَحْمَدُ عَشْرًا فَرَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَعْقِدُهَا بِيَدِهِ قَذَلِكَ خَمْسُونَ وَمِائَةٌ بِاللَّسَانِ والف وَخَمْسٌ مِائَةٍ فِى الْمِيزَانِ وَإِذَا أوى إلى فِرَاشِهِ سَبْحَ وَحَمِدَ وَكَبُرَ مِائَةً فَتِلْكَ مِائَةٌ بِالنِّسَانِ وَالفَ فِي المِيزَانِ فَأَيُّكُمْ يَعْمَلُ فِي الْيَوْمِ الْفَيْنِ وَخَمْسَ مِائَةِ سَيِّئَةٍ قَالُوا وَكَيْفَ لَا يُحْصِبْهِمَا قَالَ يَأْتِي أَحَدَكُمُ الشَّيْطَانُ وَهُوَ فِي الصَّلاةِ فَيَقُولُ اذكر كذا وكذا حَتَّى يَنْفَكُ العَبْدُ لا يَعْقِلُ وَيَأْتِيهِ وَهُوَ فِي مَضْجَعَه فَلَايَزَالُ يُنَوِّمُهُ حَتَّى يَنَامَ .


৯২৬। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলিম ব্যক্তি দু'টি অভ্যাস আয়ত্ত করতে পারলে জান্নাতে প্রবেশ করবে। সেই দু'টি অভ্যাস আয়ত্ত করাও সহজ, কিন্তু এ দু'টি অভ্যাস অনুশীলনকারীর সংখ্যা কম। 

প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর দশবার সুবহানাল্লাহ, দশবার আল্লাহু আকবর এবং দশবার আলহামদু লিল্লাহ বলা। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এগুলো তাঁর হাতের আঙ্গুল দিয়ে গণনা করতে দেখেছি। তিনি বলেনঃ তা মুখে পড়লে হয় এক শত পঞ্চাশ এবং মীযানে হয় এক হাজার পাঁচ শত।

সে শয্যা গ্রহণকালে সুবহানাল্লাহ, আলহামদু লিল্লাহ ও আল্লাহু আকবার এক শতবার পড়লে তা তার মুখে হয় এক শত এবং মীযানে হয় এক হাজার। তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে প্রতিদিন দুই হাজার পাঁচ শত গুনাহ করবে? 

তারা বলেন, কেউ এ দু'টি অভ্যাস কেন অনুশীলন করবে না। তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন নামাযে দাঁড়ায় তখন শয়তান তার নিকট এসে বলে, অমুক অমুক বিষয় স্মরণ করো, এমনকি বান্দা (নামায থেকে) বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং বুঝতে পারে না (যে, সে কত রাকআত পড়ছে)। 

অনুরূপভাবে সে তার বিছানায় অবস্থানকালেও শয়তান সেখানে আসে এবং তাকে ঘুম পারাতে থাকে, অবশেষে সে ঘুমিয়ে যায় ।


۹۲۷ - حدثنا الحُسَيْنُ بْنُ الحَسَنِ الْمَرْوَزِى ثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ بِشَرِ بْنِ عَاصِرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي ذَرٍ قَالَ قِيلَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَرَبِّمَا قَالَ سُفْيَانُ قُلْتُ يَا رَسُولَ الله ذَهَبَ أَهْلُ الأموال والدثور بالآخر يَقُولُونَ كَمَا نَقُولُ وَيُنْفَقُونَ وَلَا تُنْفِقُ قَالَ فِى ألا أخبركُمْ بأَمْرِ إِذا فَعَلْتُمُوهُ أدْرَكْتُمْ مَنْ قَبْلِكُمْ وَقتُم مَنْ بَعْدِكُم تَحْمَدُونَ اللَّهَ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلَاةٍ وَتُسَبِّحُونَهُ وَتُكَبِّرُونَهُ ثَلَاثًا وَثَلَاثِينَ وَثَلاثاً وَثَلاثِينَ وَارْبَعًا وَثَلاثِينَ قَالَ سُفْيَانُ لا أَدْرِي أَيَّتُهُنَّ أَربع .


৯২৭। আবু যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হলো (সুফিয়ানের বর্ণনায় আছে, আমি বললাম), ইয়া রাসূলাল্লাহ! বিত্তবান লোকেরা পুরস্কার লাভে আমাদের থেকে এগিয়ে গেছে। আমরা যা বলি, তারাও তা বলে এবং তারা ধন-সম্পদ ব্যয় করে, কিন্তু আমরা তা পারি না। 

তিনি আমাকে বলেনঃ আমি কি তোমাদের এমন বিষয় বলে দিবো না, যা করলে তোমরা তোমাদের অগ্রবর্তীদের ধরতে পারবে এবং তোমরা যাদের অগ্রবর্তী হতে পারবে, তারা তোমাদের অতিক্রম করতে পারবে না?

তোমরা প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর আলহামদু লিল্লাহ, সুবহানাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবার ৩৩ বার, ৩৩ বার এবং ৩৪বার পাঠ করবে। সুফিয়ান (রাঃ) বলেন, আমার মনে নেই যে, কোন কলেমাটি ৩৪ বার পাঠ করতে হবে ।


۹۲۸ - حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ ثَنَا عَبْدُ الحَمِيْدِ بْنُ حَبِيْبٍ ثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حِ وَحَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّمَشْقِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنِي شَدَادٌ أَبُو عَمَّارٍ حَدَّثَنَا أَبُو أَسْمَاءَ الرَّحَبِي حَدَّثَنِي ثَوبَانُ أَنَّ رَسُول الله صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذا انْصَرَفَ مِنْ صَلَاتِهِ اسْتَغْفَرَ ثَلَاثَ مَرَاتِ ثُمَّ يَقُولُ اللهُمُ انْتَ السّلامُ وَمِنْكَ السّلامُ تَبَارَكْتَ يَا ذا الجلال والإكرام .


৯২৮। সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায সমাপনান্তে তিনবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন, অতঃপর বলতেনঃ “হে আল্লাহ! আপনি শান্তিদাতা এবং আপনার পক্ষ থেকে শাস্তি পাওয়া যায়। হে মহত্ব ও মর্যাদার অধিকারী! আপনি বরকতময় প্রাচুর্যময়”।


📘📘নামায শেষে ফিরে বসা।🙋🙋


আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে কুরআন সুন্নাত হাদীস,দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত বিষয়ে জানার জন্য চ্যনেলে {হে মুমিনগণ!}দেখুন।
সুনানে ইবনে মাজহা সহি হাদিস শুনুর জন্য ইউটুব চ্যনেস {হাদিস বিশ্বনবির বাণী}দেখুন।
আল-কুরআন ও হাদীসের আলোচনা পাড করার জন্য {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।
আল-কোরআন ১১৪টি সুরা শুনার জন্য ইউটুব চ্যেনেল {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.