ইবনে মাজাহ ,যোহর ও আসর নামাযের কিরাআত, অধ্যায়-৫,অনুচ্ছেদ-৭

 সুনানে ইবনে-মাজাহ

ইউটুবে দেখুন👉

অধ্যায়-৫

অনুচ্ছেদ : ৭

بَابُ الْقِرَاءَةِ فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ

যোহর ও আসর নামাযের কিরাআত।

-٨٢٥ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ لَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ لَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ ثَنَا رَبَبْعَةُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ قَرْعَةَ قَالَ سَالَتْ آبَا سَعِيدِ الْخُدْرِي عَنْ صَلَاةِ رَسُول الله فقال ليس لك فى ذلكَ خَيْرٌ قلتُ لَهُ بَيْن رَحمَكَ اللهُ قَالَ كَانَتِ الصَّلاةُتُقَامُ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ فَيَخْرُجُ أَحَدُنَا إِلَى الْبَقِيْعِ فَيَقْضِي حَاجَتَهُ فَيَجِئُ فَتَوَضًا فَيَجِدُ رَسُول الله له في الركعة الأولى من الظهر

৮২৫। কয্আ (রা) তহে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা) কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামায সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলেন, এতে তোমার জন্য কোন কল্যাণ নেই। আমি বললাম, আপনি স্পষ্ট করে বলুন, আল্লাহ আপনাকে অনুগ্রহ করুন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য যোহর নামাযের ইকামত দেয়া হতো। আমাদের কেউ আল-বাকী নামক স্থানে গিয়ে তার প্রাকৃতিক প্রয়োজন সেরে এসে উযু করতো, অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে যোহরের প্রথম রাআতেই পেতো ।

٨٢٦- حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ ثَنَا وَكِيعٌ ثَنَا الْأَعْمَشِ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ ابِي مَعْمَرٍ قَالَ قُلْتُ لِخَبَابِ بِأَيِّ شَيْءٍ كُنتُمْ تَعْرِفُونَ قِرَاءَةَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي الظهر والعَصْرِ قَالَ باضطراب لحيته .

৮২৬। আবু মামার(রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি খাব্বাব(রা)-কে জ্ঞিজ্ঞেস করলাম, আপনারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যোহর ও আসর নামাযের কিরাআত কিসের মাধ্যমে বুঝতেন? তিনি বলেন, তাঁর দাঁড়ি নড়াচড়ার মাধ্যমে ।

۸۲۷- حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ثَنَا أَبُو بَكْرِ الحَنَفِيُّ لَنَا النِّحالُ بْنُ عُثْمَانَ حَدَّثَنِي بُكَيْرُ ابْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ الأَشَجَ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشبَه صَلاةٌ بِرَسُول الله له من فلان قَالَ وَكَانَ يُطِيلُ الأوليين مِنَ الظُّهْرِ وَيُخَفِّفُ الْأَخْرَيَيْنِ وَيُخَفِّفُ الْعَصْرَ .

৮২৭। আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নামাযের সাথে অমুকের নামাযের চাইতে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ আর কারো নামায দেখিনি। রাবী বলেন, তিনি যোহরের প্রথম দুই রাকআত দীর্ঘ করতেন এবং পরবর্তী দুই রাকআত সংক্ষেপ করতেন এবং আসরের নামায সংক্ষেপ করতেন।

۸۲۸- حَدَّثَنَا يَحْيَ بْنُ حَكِيمٍ ثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّبَالِسِي ثَنَا الْمَسْعُودِئُ تَنَا زَيْدٌ یحی الْعَمِيُّ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدِ الْخُدْرِي قَالَ اجَتَمَعَ ثَلاثُونَ بَدْرِيَّا أصْحَاب رَسُول الله الله فَقَالُوا تَعَالَوْا حَتَّى نَقيس قراءَةً رَسُول الله له فيمافِيْمَالمْ يَجْهَرْ فيه من الصلاة فَمَا اخْتَلَفَ مِنْهُمْ رَجُلانِ فَقَاسُوا قراءتَهُ في الركعة الأولى مِنَ الظُّهْرِ بِقَدْرِ ثَلاثِينَ أيَةً وَفِى الرَّكْعَةِ الْأُخْرَى قَدْرَ النَّصْفَ مِنْ ذلكَوَقَاسُوا ذَلِكَ فِي الْعَصْرِ عَلَى قَدْرِ النِّصَفِ مِنَ الرَّكْعَتَيْنِ الْأَخْرَيَيْنِ مِنَ الظَّهْرِ

৮২৮। আৰু সাঈদ আল-খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তিরিশজন সাহাবী সমবেত হয়ে বলেন : আসুন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নীরবে পঠিত (যোহর ও আসর) নামাযের কিরাআত সম্পর্কে অনুমান করি। তাদের মধ্যে দু'জন সাহাবীও তাদের এ অনুমানে মতভেদ করেননি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহরের প্রথম রাকআতে তিরিশ আয়াত এবং দ্বিতীয় রাকআতে তার অর্ধেক সংখ্যক আয়াত তিলাওয়াত করতেন। এভাবে তারা অনুমান করলেন যে, তিনি আসরের নামাযে যুহরের দ্বিতীয় রাআতে পঠিত কিরাআতের সমপরিমাণ কিরাআত পড়তেন।

👉👉 তিলাওয়াযোহর ও আসরের নামাযে কখনো সশব্দে কুরআনত।👳👳👇

---

সুনানে ইবনে মাজাহর সবগোলি সহীহ হাদীস শুনার জন্য{হাদীস বিশ্ব নবির বাণী} আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে দেখুন।
আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত ও কুরআন সুন্নাত বিষয়ে জানার জন্য{হে মুমিনগণ!}য়ে চ্যেনেলে দেখুন। 
আল-কুরআন ও হাদীসের আলোচনা পাড করার জন্য{ইসলামিক একাডেমি এনপি} যে দেখুন।
আল-কোরআন ১১৪টি সুরা শুনার জন্য ইউটুব চ্যেনেল{ইসলামিক একাডেমি এন পি}

---