ইবনে মাজাহ, সফরে নফল নামায, অধ্যায়-৫, অনুচ্ছেদ- ৭৫

সুনানে ইবনে-মাজাহ

অনুচ্ছেদঃ ৭৫

بَابُ التَّطوع فِي السَّفَرِ

সফরে নফল নামায ।

۱۰۷۱- حدثنا أبو بكر بن خلاد الباهلي ثنا أبو عَامِرٍ عَنْ عِيسَى بْن حَفْصٍ ابْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ كُنَّا مَعَ ابْنِ عُمَرَ فِي سَفَرٍ فَصَلَّى بِنَا ثُمَّ انْصَرَفْنَا مَعَهُ وانْصَرَفَ قَالَ فَالْتَفَتَ فَرَأَى أَنَاسًا يُصَلُّونَ فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ قَالَ لَوْ كُنتُ مُسَبِّحًا لَأَتْمَمْتُ صَلَاتِي يَا ابْنَ أَخِي إنِّي صَحِبْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ فِي السَّفَرِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ ثُمَّ صَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ صَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ صَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَهَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُمُ اللهُ وَاللهُ يَقُولُ القَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُول الله أَسْوَةٌ حَسَنَةٌ) ...

১০৭১। হাফস ইবনে আসেম (রাঃ) বলেন, আমরা এক সফরে ইবনে উমার (রা)-এর সাথে ছিলাম। তিনি আমাদের নিয়ে নামায পড়েন। অতঃপর আমরা সেখান থেকে তার সাথে ফিরে আসি। রাবী বলেন, তিনি একদল লোককে নামায পড়তে দেখে বলেন, ঐ সকল লোক কি করছে? আমি বললাম, তারা নফল নামায পড়ছে।

তিনি বলেন, সফরে নফল নামায পড়া জরুরী মনে করলে, আমি আমার ফরয নামায পুরাটাই পড়তাম।

হে ভাজিতা! আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সফরসংগী ছিলাম।

তিনি তাঁর ইনতিকাল পর্যন্ত সফরে দুই রাকআতের অধিক নামায পড়েননি।

তারপর আমি আবু বাক্ (রাঃ)-এর সফরসংগী ছিলাম, তিনিও দুই রাআতের অধিক নামায পড়েননি। এরপর আমি উমার (রাঃ)-এর সফরসংগী ছিলাম এবং তিনিও দুই রাকআতের অধিক নামায পড়েননি।

অতঃপর আমি উসমান (রাঃ)-এর সফরসংগী ছিলাম, তিনিও দুই রাকআতের অধিক নামায পড়েননি।

এই অবস্থায় তারা ইনতিকাল করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মধ্যে অবশ্যি তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ” 

(সূরা আহযাব ৪ ২১)।

١٠٧٢ - حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلادٍ ثَنَا وَكِيعٌ ثَنَا أَسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ قَالَ سَأَلْتُ طَاوُسًا عَنِ السَّبْحَةِ فِي السَّفَرِ وَالحَسَنُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ يَنَّاقٍ جَالِسٌ عِنْدَهُ فَقَالَ حَدَّثَنِي طَاؤُسُ أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاس يَقُولُ فَرَضَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَاةَ الْحَضَرِ وَصَلاَةَ السِّفَرِ فَكُنَّا نُصَلِى فِى الحَضَرِ قَبْلَهَا وَبَعْدَهَا وَكُنَّا نُصَلِّي فِي السِّفَرِ قَبْلَهَا وَبَعْدَهَا

১০৭২। উসামা ইবনে যায়েদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তাউসকে সফরে নফল নামায পড়ার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন হাসান ইবনে মুসলিম ইবনে ইয়ান্নাকও তার নিকট বসা ছিলেন।

তিনি বলেন, তাউস (রাঃ) আমাকে বললেন যে, তিনি ইবনে আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুকীম অবস্থার ও সফরকালের নামায নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

অতএব আমরা মুকীম ও মুসাফির অবস্থায় ফরয নামাযের আগে-পরে নফল নামায পড়তাম।

👇মুসাফির কোন জনপদে অবস্থান করলে কত দিন নামায কসর করবে?👳

---

আমাদের এই ইউটুব চ্যেনেলে কুরআন সুন্নাত হাদীস,দৌনন্দিন জিকিরের ফজিলত বিষয়ে জানার জন্য চ্যনেলে {হে মুমিনগণ!}দেখুন।

সুনানে ইবনে মাজহা সহি হাদিস শুনুর জন্য ইউটুব চ্যনেস {হাদিস বিশ্বনবির বাণী}দেখুন।

আল-কুরআন ও হাদীসের আলোচনা পাড করার জন্য {ইসলামিক_একাডেমি_এনপি}দেখুন।

আল-কোরআন ১১৪টি সুরা শুনার জন্য ইউটুব চ্যেনেল {ইসলামিক একাডেমি এনপি}দেখুন।

---